Eye Tech 24
https://www.eyetech24.com/2020/07/blog-post_7.html
অ্যান্ড্রয়েডের সেরা ১২ টি কাস্টম রোম
দেখে নিন অ্যান্ড্রয়েডের ফোনের জন্য সেরা ১২ টি কাস্টম রোম।
অ্যান্ড্রয়েডের এর সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি এমন একটি প্রজেক্ট যা সকল ডেভোলাপারদের জন্য উন্মুক্ত। অ্যান্ড্রয়েড ডেভলাপার কমিউনিটি বেশ বড়। আর তাদের বিশেষ দক্ষতা হলো কাস্টম রোম তৈরি করা বা অ্যান্ড্রয়েড তৈরি করা।অ্যান্ড্রয়েড আসলে একটি অপারেটিং সিস্টেম যা আমাদের স্মার্ট ফোন গুলোকে চালায়। বিভিন্ন কম্পানির ফোন গুলো ২ বছর হতে না হতেই তাদের আপডেট বন্ধ করে দেয় কিন্তু কাষ্টম রোম দিয়ে সব চেয়ে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ও চালানো যায় যা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনের জন্য ভালো একটি দিক।
যদি আপনি কাস্টম রোম নিয়ে ভাবেন বা নিজের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস টি তে ব্যাবহার করতে চান তাহলে এই পোষ্ট প্রথম থেকে শেষ অব্দি পড়ুন তাহলে ভালো ধারণা পাবেন আশা করি।অনেক কাস্টম রোম রয়েছে কিন্তু সেগুলোর মধ্যে আপনি কোনটি নিবেন আর কোনটি বা আপনার ডিভাইসের জন্য ভাল হবে জানেন কি? সব চেয়ে সেরা ১২ টি কাস্টম রোম সম্পর্কে জেনে নিন।
১.পিক্সেল এক্সপিরিয়েন্স
পিক্সেল এক্সপিরিয়েন্স (pixel experience) বর্তমান সময়ের সব চেয়ে সেরা কাস্টম রোম।এর সেরা হওয়ার পেছনে তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এই রোম টি সকল ডিভাইসে সাপোর্ট করে শাওমি থেকে শুরু করে রিয়েল মি আবার আসুস থেকে স্যামসাং।প্রায় প্রতিটি ডিভাইসে। দ্বিতীয়ত, এটি পিক্সেলের সকল ফিচার গুলো বাজেট ফোনেও চালাতে সক্ষম এবং তৃতীয়ত, এর স্থায়িত্ব অন্য সব কাস্টম রোমের চেয়ে অনেক বেশি।তাই স্থায়িত্ব আর নতুন নতুন ফিচার এর জন্য পিক্সেল এক্সপিরিয়েন্স সব চেয়ে ভালো।
২.লিনিএজ ও এস
পরবর্তী সব চেয়ে জনপ্রিয় কাস্টম রোম হলো লিনিএজ ও এস (lineage OS)। অনেকেই এই নামের সাথে পরিচিত নয়। প্রথম যখন ক্যানোজেন ইনকর্পোরেটেড এই রোম বাজারে নিয়ে আসে তখন তার নাম ছিল ক্যানোজেন মোড কিন্তু সঠিক ডেভোলাপমেন্ট না থাকায় এই প্রজেক্ট বাতিল হয়ে যায়।তাই তারা লিনিএজ ও এস নামে এই রোম বাঁচিয়ে রাখে ও ডেভোলাপ করে। এতে গুগল AOSP কোড ও তাদের নিজস্ব কিছু কোড ব্যাবহার করা হয়েছে।প্রায় ১৯০ টি ফোনে এই রোম সাপোর্ট করে।
৩.এভ্যুলিউশন এক্স
যদি এভ্যুলিউশন এক্স (Evolution x) এর কথা বলতে হয় তাহলে আমি বলবো এটি RESURRECTION REMIX এর স্থায়ী ভার্সন। এর কারণ এর বিশেষ কিছু ফিচার। স্থাতিত্ব বেশ ভাল হলেও এই রোম তুলনামূলক ধীর গতির এবং আপডেট গুলো অনেক দেরিতে আসে তবুও বেশ ভালো এবং আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভালো সাপোর্ট দেবে আশা করা যায়। এর নতুন ভার্সন টি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়।
৪.এওএসপি এক্সটেন্ড
যেহেতু এই রোম টি (Aosp Extended) AOSP কোড ও বিভিন্ন প্রজেক্ট এর মাধ্যমে এই রোম তৈরি করা হয়েছে তাই এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হলো ফোন কখনো হ্যাং করে না বা কোনো কিছু করার সময় বেঁধে (lag free) যায় না।তাই এটি খুব ভালো মানের একটি রোম। বাকি ফিচার গুলোতেও অন্যান্য রোমের তুলনায় পিছিয়ে নেই।প্রায় সব ধরণের ফিচার এতে রয়েছে।
৫.সি আর ড্রয়েড
ধরুন আপনি স্টক রোম দেয়ার কথা ভাবছেন তাও আবার স্থায়ী এবং কোনো স্টক না হারিয়ে।তাহলে সি আর ড্রয়েড (CR Droid) আপনার জন্যই। বেশ কিছু দিন যাবত এই রোম বেশ সাড়া ফেলেছে।এর জন্য রয়েছে সব সময় একটিভ ডেভোলাপার টিম ও এই রোম পুরাতন অনেক মোবাইল ডিভাইসে সাপোর্ট করে।যেমন রেডমি নোট ৫ প্রো, পোকো ফোন এফ ১ সহ আরো অনেক।
৬. হ্যাভক ও এস
দুই চার বাক্যে এই রোম (havoc OS) ব্যাখ্যা করলে বলা যেতে পারে যে প্রথম ব্যাবহারে এটি অন্য সব রোমের মত লাগলেও কিছু দিন ব্যাবহার করার পর বুঝতে পারবেন এর ব্যাবহার করার মজা।অনেক ফিচার নিয়ে এটি এখনো বলা যেতে পারে সব চেয়ে স্থায়ি একটি কাস্টম রোম। তবে এর আসল মজা পেতে হলে কিছু দিন অবশ্যই ব্যাবহার করতে হবে। তবে শুধু আপডেটেড অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন গুলোতেই এই রোম সাপোর্ট করে।যা কিছু টা হলেও হতাশাজনক
৭.এম এস এম এক্সটেন্ডেড
AOSP এর উপর নির্ভর করে এই কোড দ্বারা বানানো আরো একটি রোম হলো এম এস এম এক্সটেন্ডেড (MSM Extended)। এর রয়েছে নিজস্ব মোড ও ফিচার।অনেকেই হয়তো এই রোমের নাম শুনেছেন। যদিও এটি একটি নতুন প্রোজেক্ট তবুও দিন দিন এই রোমের ডেভোলাপার রা একে আরো স্থায়ি ও ব্যাবহার যোগ্য করে তুলছেন।এবং বর্তমানে এটি অন্যতম সেরা একটি কাস্টম রোম।
৮.অ্যারো ও এস
অ্যারো ও এস (Arrow OS) অনেকটা পিক্সেল এর মত।এবং AOSP কোড দিয়ে তৈরি।এর সব চেয়ে বড় বিষয় হলো এটি অনেক লাইট একটি সফটওয়্যার কিন্তু কম ফিচার নেই।অনেক অনেক ফিচার রয়েছে এতে।এমন কি নতুন অ্যান্ড্রয়েড ১০ এর ফিচার ও রয়েছে এতে যা একে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।অন্যতম সেরা একটি স্টক রোম এটি।
৯.ব্লিস রোম
তুলনামুলক নতুন একটি রোম হওয়া সত্ত্বেও ব্লিস রোম(bliss rom) বেশ ভালো ও জনপ্রিয় এটি। শুধু অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনেই নয় বরং মাইক্রোসফট সারফেস এর মত ডিভাইসেও এই রোম ব্যাবহার করা যাবে। এতে রয়েছে নতুন নতুন অনেক ফিচার যা আগে ছিলো না।কাস্টম রোমের জগতে এটি নতুন মাত্রার সূচনা করেছে।এবং ভালো ফলাফল আশা করা যায়।
10.এ ও এস আই পি
এ ও এস আই পি (AOSIP) আরো একটি রোম যা কোড করা হয়েছে AOSP কোড দ্বারা। এটির সব চেয়ে যে ফিচার টি ভালো লাগে তা হলো এটি কখনো কোড পরিবর্তন করে না এবং স্থায়ি হয়ে থাকে।নতুন নতুন কিছু ফিচার বেশ ভালো। জায়োমী, ওয়ান প্লাস ও পিক্সেলের মত ফোন গুলোতে এই রোম ব্যাবহার করা যাবে।
১১.প্যারানয়েড অ্যান্ড্রয়েড
কয়েক বছরের ব্রেক এর পর প্যারানয়েড অ্যান্ড্রয়েড (Paranoid Android) আবার ফিরে এসেছে নতুন ফিচার নিয়ে।আপনি হয়ত নাও জানতে পারেন তবে এক সময়ের সব চেয়ে ভালো ও সব চেয়ে সেরা অ্যান্ড্রয়েড কাস্টম রোম ছিলো এটি। এর ব্যাবহারেই বোঝা যায় এর সক্ষমতা।কিন্তু শুধু মাত্র ওয়ান প্লাস ৭ প্রো এবং রেডমি কে ২০ প্রো তেই এই রোম সাপোর্ট করে।
১২.রেসারেক্সন রিমিক্স
যদিও এই রেসারেক্সন রিমিক্স (Ressurection Remix) রোম এখন আর একটিভ ডেভোলাপমেন্টে নেই তবুও কিছু স্বতন্ত্র ডেভোলাপার একে ডেভোলাপ করে চলেছে। আপনি যদি ক্লাসিক ফ্যাশান পছন্দ করেন তাহলে বলবো অবশ্যই এই রোম ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।অসাধারন সব ফিচার নিয়ে এই রোম স্থায়ী এবং অনেক ভালো।মোট কথা ব্যাবহার করে মজা পাবেন।
সব শেষে বলবো এই ১২ টি রোম ই সেরা।আপনি যদি আসলেই কাস্টম রোম ব্যাবহার করতে চান তাহলে আপনার ডিভাইস অনুযায়ী সঠিক রোমটি বাছাই করুন ও ব্যাবহার করে দেখুন।এই আর্টিকেল টি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন