Eye Tech 24 https://www.eyetech24.com/2022/05/blog-post.html

ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত

ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। সালাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল দোয়া ।এই অর্থ হিসেবে নির্দিষ্ট ইবাদতকে সালাত এজন্য বলা হয়, যেহেতু তার মধ্যেও দোয়া রয়েছে। সালাত শব্দের আরেকটি অর্থ হল, নিতম্বের দুইপাশের হাড্ডি- নাড়াচাড়া করানো। এই অর্থে সালাতকে সালাত বলার কারণ হলো- যেহেতু সালাতের মধ্যেও রুকু্ এবং সিজদায় নিতম্ব নিতম্ব হেলানো হয়।

পেজ সূচিপত্রঃ




সালাত শব্দের পারিভাষিক অর্থ হলো- আট অঙ্গ ভূমিতে লুটিয়ে এবং নিজের আমিত্ব মিটিয়ে আল্লাহর ত’আল্লার বড়ত্বের প্রমান করাকে সালাত বলা হয়।
 যা বিশেষ কিছু কথা ও কর্মকে শামিল করে এবং তা আরম্ভ হয় তাকবীর তথা আল্লাহু আকবর দিয়ে আর শেষ হয় আসসালামু আলাইকুম দ্বারা ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।

আরো পড়ুনঃ পীরের মুরিদ

দৈনিক কত ওয়াক্ত সালাত ফরজ এবং কি কি

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ তা হল ১. ফরজ ২.যোহর ৩.আসর ৪.মাগরিব ইশা এ ব্যাপারে সকল মুসলিমদের ঐকমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। 

ইকামাতে সালাত বলতে  কি বুঝায় 

ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত, ইকামাতে সালাত বলতে বুঝায়- ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে পরিপূর্ণভাবে সালাতের সকল শর্ত পূরণ করে সালাত কায়েম করা। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।যাতে সালাতে সকল ফরজ ওয়াজিব সুন্নত ও মুস্তাহাবসমূহ আদায় সহকারে সর্বাঙ্গীন ও পরিপূর্ণভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সমাজে বিরাজমান থাকা। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত

সালাত বা নামাজ ফরজ এর দলিল কি

ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। সালাত ফরজের অনেক দলিল রয়েছে। যেমন আল্লাহ তা-আলা এরশাদ করেন-নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা মুমিনদের জন্য অবশ্যই কর্তব্য। আল- কুরআন সুরা নিসা -আয়াত ১০৩ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ হচ্ছে সালাত।

হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত মু’য়ায রাদিআল্লাহু আনহুকে ইয়ামান প্রেরণের সময় এরশাদ করেন-তুমি আহলে কিতাবের এক গোত্রের কাছে যাচ্ছো। তুমি তাদের সর্বপ্রথম কালেমা লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সাক্ষ্য প্রদানের দাওয়াত দিবে। অন্য এক বর্ণনায় আছে-তুমি তাদের সর্বপ্রথম আল্লাহ তা’আলাার একাত্ববাদের ( তাহহিদ) দাওয়াত দেবে। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। সতরাং যদি তারা তোমার একথা মেনে নেয়,তাহলে তাদের বলবে-আল্লাহ-তা’আলাার তাদের উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেছে। সহি বুখারি হাদিস নম্বর ৪৩৪৭, সহিঃ মুসলিম হাদিস নম্বর ১৯, ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।

সালাত বা নামাজ কাদের উপর ফরজ

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানী মুসলিম ব্যক্তির উপর সালাত ফরজ। চাই সে ব্যক্তি পুরুষ হোক বা নারী হোক। কোন কাফিরের উপর সালাত ফরজ নয়। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। আর বাচ্চাদের উপর সালাত ফরজ নয়। কারণ সে মুকাল্লাফ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক নয়।ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। তদ্রুপ কোন পাগলের উপর ও সালাত ফরজ নয়। হায়েজ- নিফাসগ্রস্ত নারীদের উপর ও সালাত ফরজ নয়। কারণ শরীয়ত তাদের উপর থেকে সালাতের বিধান রহিত করেছে। কারণ তারা এ অবস্থায় অপবিত্র। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। আর সালাতের জন্য পবিত্র হওয়া শর্ত। বাচ্চা চাই সে  ছেলে হোক বা মেয়ে হোক তার বয়স যখন সাত বছর হবে, তখন তার অভিভাবকের উপর তাকে সালাতের আদেশ দেওয়া আবশ্যক। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।

সালাত বা নামাজ ত্যাগকারীর বিধান কি

ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। সালাত ত্যাগ করাকে হাদিস শরিফে মুমিন এবং কাফেরদের মধ্যে পার্থক্যকারী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেমন এরশাদ হয়েছে-হযরত জাবির রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, মুসলিম এবং মুশরিক ও কাফেরদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সালাত ত্যাগ করা- সহিহ মুসলিম হাদিস নম্বর ৮২ 
এই হাদীস অনুযায়ী বুঝা যায়,স্বেচ্চায় সালাত পরিত্যাগকারী মুমিন থাকে না বরং কাফের হয়ে যায়

অপর হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু বুরাইদা রাদিআল্লাহু আনহু তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন-আমাদের এবং তাদের মধ্যে নিরাপত্তা অঙ্গীকার হচ্ছে সালাত। সুতরাং যে তা পরিত্যাগ করল সে কাফের হয়ে গেল-সুনানে তিরমিজি হাদিস নম্বর ২৬২১, সুনানে নাসাঈ হাদিস নম্বর ৪৬৩, সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নম্বর ১০৭৯, মুসনাদে আহমাদ হাদিস নম্বর ২২৯৩৭। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।

অপর এক হাদীসে এরশাদ হয়েছে
হযরত আবু দারদা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমার বন্ধু ( রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) আমাকে অসিয়ত করেছেন যে, তুমি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। যদিও তোমাকে টুকরো টুকরো করা হয়। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। আর ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ফরজ সালাত ত্যাগ করবে না। কেননা যে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ফরজ সালাত ত্যাগ করল, তার থেকে আল্লাহ দায়িত্ব মুক্ত হয়ে যায়।সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নম্বর ৪০৩৪, মুসতাদরাকে হাকেম হাদিস নম্বর ৬৮৩০। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।
যে সকল হাদিসে সালাত ত্যাগকারী কে কাফের বলা হয়েছে, এ সকল হাদিস সমূহ ব্যাখ্যা হলঃ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকিদা হলো, কেউ যদি সালাতের ফরজিয়্যাতকে স্বীকার করে, তবে অলসতা করে, কিংবা এমনিতেই ইচ্ছে করে সালাত ত্যাগ করে , তাহলে সে কাফের হবে না। বরং সে ফাসিক। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। শরীয়ত ভাবে তার কোনো সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যদি কেউ সালাতের ফরজিয়্যাতকে অস্বীকার করে, তাহলে সকল উলামায়ে কেরামের ঐক্যমত্য ফতোয়া হলো সে কাফের। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।

সালাতের শর্ত কয়টি ও কি কি

সালাতের শর্ত মোট ০৯টি: ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।
১. মুসলিম হওয়া।
২. জ্ঞান হওয়া ( কোন পাগল কিম্বা অচেতন না হওয়া )।
৩. বালেগ হওয়া ( শিশু বাচ্চা না হওয়া )।
৪. সালাতের ওয়াক্ত বা নির্ধারিত সময় উপস্থিত হওয়া।
৫. নিয়ত করা।
৬. কেবলা মুখী হওয়া।
৭. সতর ঢাকা ( পুরুষের সতর নাভি হতে হাঁটু পর্যন্ত। আর মহিলার পুরো শরীরই সালাতের মধ্যে সতর, শুধু তার মুখ ও হাতের তালুদ্বয় ছাড়া।
৮. মুসল্লীর কাপড়, শরীর ও সালাতে স্থান পাক -পবিত্র হওয়া।
৯. হদসে আকবার তথা বড় নাপাক থেকে গোসলের মাধ্যমে, আর হদসে আসগার তথা ছোট নাপাক থেকে ওযুর মাধ্যমে পবিত্র হওয়া। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।

সালাতের ওয়াক্ত বা নির্ধারিত সময় কখন কখন

সালাতের ওয়াক্ত বা নির্ধারিত সময় হল নিম্নরূপঃ  ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।
১. ফজরের সালাত সময় হলঃসুবহে সাদেক থেকে নিয়ে সূর্যোদয় আগ পর্যন্ত।
২. যোহরের সালাতের সময় হল: সূর্য ঢলে যাওয়া অর্থাৎ সূর্য মধ্য আকাশ হতে পশ্চিম দিকে ঢলে যাওয়া হতে নিয়ে প্রত্যেক বস্তুর তার দ্বিগুণ হয় পর্যন্ত।
৩. আসরের সালাতের সময় হলঃ যোহরের সালাতের সময় চলে যাওয়া অর্থাৎ প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হওয়া থেকে নিয়ে সূর্যের রং পরিবর্তন হওয়া পর্যন্ত।
৪. মাগরিবের সালাতের সময় হলঃ সূর্যাস্ত থেকে নিয়ে পশ্চিমাকাশের লাল আভা দূরীভূত হয়েছিল অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত।
৫. এশার সময় হলঃ মাগরিবের সালাতের সময় শেষ হওয়ার পর থেকে অর্ধ রাত পর্যন্ত উত্তম সময়। তবে সুবহে সাদেকের আগ পর্যন্ত আদায় করা যাবে। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।

সালাতের নিষিদ্ধ সময়সমূহ কখন

সালাতের নিষিদ্ধ সময় তিনটিঃ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।
যেমন- হাদীছ শরীফে হযরত ইবনু রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের তিন সময়ে সালাত পড়তে ও আমাদের মৃত্যু ব্যক্তিদের দাফন করতে নিষেধ করতেন।১. সূর্য স্পষ্টভাবে উদিত হওয়ার সময় হতে নিয়ে তা উধের্ব উঠা পর্যন্ত।
২. ঠিক দুপুরের সূর্য উঁচু হওয়া থেকে নিয়ে সূর্য ঢলে যাওয়া পর্যন্ত।
৩. সূর্য অস্তমুখী হওয়ার থেকে নিয়ে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। সহিঃ মুসলিম হাদিস নম্বর- ৮৩১, সুনানে আবু দাউদ হাদিস নম্বর- ৩১৯২, সুনানে তিরমিজি হাদিস নম্বর-১০৩০, সুনানে নাসাঈ হাদিস নম্বর-৫৬০, সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নম্বর- ১৫১৯। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।

ফরজ সালাতের রাকা’আত সংখ্যা কত

ফরজ সালাতের রাকা’আত সংখ্যা সর্বমোট সতের রাকা’আত। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। নিম্নে তার তালিকা দেয়া হলোঃ
১. ফজরঃ দুই রাকা’আত।
২. যোহরঃ চার রাকা’আত।
৩. আসরঃ চার রাকা’আত।
৪. মাগরিবঃ তিন রাকা’আত।
৫. এশাঃ চার রাকা’আত।
ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।

জামা’আতে সালাত আদায় করার বিধান কি
প্রতিটি সক্ষম মুসলিমের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মসজিদে জামা’আতে সাথে আদায় করা ওয়াজিব।ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত। এতে সে আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি ও সাওয়াব অর্জন করতে পারবে।
 হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে- 
হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-একা সালাত পড়ার চেয়ে জামা’আতে সালাত পড়ার সওয়াব পচিশ গুন বেশি। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।
সহিঃ মুসলিম হাদিস নম্বর- ৬৪৯, সুনানে নাসাঈ হাদিস নম্বর-৮৩৮, মুসনাদে আহমাদ হাদিস নম্বর-১০৩০৫। ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ সালাত।







অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া