Eye Tech 24 https://www.eyetech24.com/2022/07/blog-post.html

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত

 জিলহজের প্রথম দশকের আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য,

এক, জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
এই দশ রাতের শপথ করেছেন আল্লাহ,
وَ لَیَالٍ عَشۡرٍ
কসম দশ রাতের।
ফাজর-২
দুই.
এই দিনগুলোতে বেশি পরিমাণে আল্লাহকে স্মরন করতে বলা হয়েছে,
وَ یَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ فِیۡۤ اَیَّامٍ مَّعۡلُوۡمٰتٍ عَلٰی مَا رَزَقَہُمۡ مِّنۡۢ بَہِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ
এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু থেকে যে রিয্ক দিয়েছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে। হজ্ব-২৮ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
তিন.
عن جابر بن عبدالله
أفضلُ أيّامِ الدُّنيا العشرُ يعني عشرَ ذي الحجَّةِ قيل ولا مثلُهنَّ في سبيلِ اللهِ قال ولا مثلُهنَّ في سبيلِ اللهِ إلّا رجلٌ عفَّر وجهَه بالتُّرابِ
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন হলো জিলহজের প্রথম দশদিন।
الترغيب والترهيب ٢‏/١٩٠ • إسناده حسن
চার. জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
এই দশদিনের মধ্যে কুরবানীর দিন আছে,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُرْطٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِنَّ أَعْظَمَ الأَيَّامِ عِنْدَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَوْمُ النَّحْرِ ثُمَّ يَوْمُ الْقَرِّ ‏"‏ ‏
আবদুল্লাহ ইবনু কুরত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রাচুর্য্যময় মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন দিন হলো কুরবানীর দিন, তারপর মেহমানদারীর দিন, সেটি হলো দ্বিতীয় দিন। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৭৬৫
রমযানের পরে আশরায়ে যিলহজ্বের চেয়ে শ্রেষ্ঠতম কোনো দিন নেই-এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় এবং এতে সকলেই একমত।
জিলহজের প্রথম দশকের আমল,
এক,
আল্লাহর নিকট যিলহাজ্জ মাসের দশ প্রথম দিনের আমলের অধিক প্রিয়। জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهَا أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ الأَيَّامِ ‏"‏ ‏ يَعْنِي أَيَّامَ الْعَشْرِ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ وَلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَىْءٍ ‏"‏ ‏
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহান আল্লাহর নিকট যে কোন দিনের সৎ আমলের চাইতে যিলহাজ্জ মাসের দশ প্রথম দিনের আমলের অধিক প্রিয়। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? তিনি বললেনঃ না, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে যে ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে জিহাদে বের হয় এবং এর কোন একটি নিয়েও ফিরে না আসে তার কথা স্বতন্ত্র।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৪৩৮ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
দুই.
বেশি পরিমাণে তাকবীর, তাহলিল পড়া।
عن عبدالله بن عمر
ما من أيامٍ أعظمُ عندَ اللهِ ولا أحبَّ إليه العملُ فيهنَّ من هذهِ الأيامِ العشرِ فأكثروا فِيهنَّ من التهليلِ والتكبيرِ والتحميدِ
আল্লাহর কাছে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও সবচেয়ে প্রিয় দিন হলো জিলহজের প্রথম দশক,
সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি পরিমাণে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করো।
أخرجه أحمد (٥٤٤٦)
তিন.
জিলহজের প্রথম নযদিন রোযা রাখা,
عَنْ امْرَأَتِهِ، عَنْ بَعْضِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ تِسْعًا مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَيَوْمَ عَاشُورَاءَ، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، أَوَّلَ اثْنَيْنِ مِنَ الشَّهْرِ وَخَمِيسَيْنِ»
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন স্ত্রী থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিলহজ্জ মাসের নয় দিন, আশুরার দিন এবং প্রত্যেক মাসের তিন দিন সাওম (রোযা) পালন করতেন-মাসের সোমবার এবং দুই বৃহস্পতিবার। সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৪১৭
চার.
আরাফার দিনের রোযা, (৯ ই জিলহজের রোযা) জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
وَصِيَامُ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصَوْمُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ ‏"‏
পেয়ে সন্তুষ্ট। আমরা আল্লাহর কাছে তাঁর রাসূলের অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই। ‘উমার (রাঃ) উক্ত বাক্যটি বারবার বলতে লাগলেন, এক পর্যায়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অসন্তুষ্টির ভাব দূরীভূত হল। এরপর ‘উমার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ বাক্তি কেমন যে সারা বছর সওম রাখে? তিনি বললেনঃ এমনও কি কেউ সামর্থ্য রাখে? তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ বাক্তি কেমন যে দুই দিন সওম পালন করে এবং একদিন রোযাহীন থাকে? তিনি বললেন, কেউ কি এরূপ করতে সহ্মম? তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ ব্যক্তি কেমন যে একদিন সওম পালন করে এবং একদিন রযাহীন থাকে? তিনি বললেন, তা দাঊদ (আঃ) এর সাওমের মতই। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ ব্যক্তির সওম কেমন যে একদিন সওম রেখে দু’দিন রোযাহীন থাকে? তিনি বললেনঃ আমি এটাই কামনা করি, যেন আমাকে এরূপ শক্তি দেয়া হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ প্রতি মাসে তিনটি সওম এবং এক রমাযান থেকে পরবর্তী রমাযান পর্যন্ত প্রতি বছরের রমাযানের সওম, এটাই হচ্ছে সর্বদা সওম পালনের সমতুল্য। আরাফাহ্ দিনের সওম আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, এর দ্বারা তিনি পূর্বের বছর এবং পরের বছরের গুনাহ ক্ষমা করবেন। আর আশূরার সওম, আমি আল্লাহর কাছে আশা করি তিনি (এর বিনিময়ে) আগামী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করবেন। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৪২৫

আরো পড়ুনঃ পীরের মুরিদ
হাজীদের জন্য এই দিনে আরাফার ময়দানে ওকূফ ও মুজাহাদার শক্তি অর্জনের নিমিত্তে রোযা না রাখা উত্তম।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَفْطَرَ بِعَرَفَةَ وَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ أُمُّ الْفَضْلِ بِلَبَنٍ فَشَرِبَ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَأُمِّ الْفَضْلِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ حَجَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَصُمْهُ يَعْنِي يَوْمَ عَرَفَةَ وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ فَلَمْ يَصُمْهُ وَمَعَ عُمَرَ فَلَمْ يَصُمْهُ وَمَعَ عُثْمَانَ فَلَمْ يَصُمْهُ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ الإِفْطَارَ بِعَرَفَةَ لِيَتَقَوَّى بِهِ الرَّجُلُ عَلَى الدُّعَاءِ وَقَدْ صَامَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ يَوْمَ عَرَفَةَ بِعَرَفَةَ ‏.‏
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাতে রোযা ভেঙ্গে ফেলেন। সেদিন তাঁর জন্য উম্মুল ফাদল (রাঃ) কিছু দুধ পাঠিয়েছিলেন। তিনি তা পান করেন।
জ্ঞাতব্য:
আবূ হুরায়রা, ইবনু উমার ও উম্মুল ফাযল (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান সহীহ্‌ বলেছেন।
ইবনু উমার (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে আমি হাজ্জ করেছি কিন্তু আরাফার দিন তিনি রোযা পালন করেননি; আবূ বাক্‌র (রাঃ)-এর সাথেও হাজ্জ করেছি, তিনিও সেদিন রোযা পালন করেননি; উমার (রাঃ)-এর সাথেও হাজ্জ করেছি, তিনিও সেদিন রোযা পালন করেননি এবং উসমান (রাঃ)-এর সাথেও হাজ্জ করেছি কিন্তু তিনিও রোযা পালন করেননি।
এ হাদীস অনুযায়ী বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ আলিম আমলের কথা বলেছেন। তাঁরা আরাফার দিন দু’আর ক্ষেত্রে শক্তিলাভের জন্য রোযা পালন না করাকে মুস্তাহাব বলেছেন। অবশ্য আরাফাতে অবস্থানকালে কোন কোন আলিম সে দিনের রোযা পালন করেছেন। জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৭৫০
পাচ. জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
আইয়্যামে তাশরিকের আমল,
عَنْ نُبَيْشَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّا كُنَّا نَهَيْنَاكُمْ عَنْ لُحُومِهَا أَنْ تَأْكُلُوهَا فَوْقَ ثَلاَثٍ لِكَىْ تَسَعَكُمْ فَقَدْ جَاءَ اللَّهُ بِالسَّعَةِ فَكُلُوا وَادَّخِرُوا وَاتَّجِرُوا أَلاَ وَإِنَّ هَذِهِ الأَيَّامَ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ وَذِكْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏"‏
নুবাইশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমরা তোমাদেরকে তিন দিনের অধিক কুরবানীর গোশ্‌ত খেতে নিষেধ করেছিলাম, যাতে গোশ্‌ত তোমাদের সকলের নিকট পৌঁছে যায়। আল্লাহ এখন তোমাদের দারিদ্র মোচন করেছেন। কাজেই এখন তোমরা তা খাও, জমা করে রাখো এবং সদাক্বাহ করে নেকী অর্জন করো। জেনে রেখো, এ দিনগুলো পানাহারের দিন এবং মহান আল্লাহকে স্মরণ করার দিন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৮১৩
৯ জিলহজ ফজর থেকে শুরু করে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। জামাতে হোক বা একা, সর্বাবস্থায় এটা বলতে হবে। পুরুষ হোক বা নারী সকলকেই বলতে হবে। তাকবিরে তাশরিক হলো-
‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
মাসআলাঃ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
উচ্চস্বরে একবারই তাকবীর বলা ওয়াজিব।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২
রদ্দুর মুহতার ২/১৭৮
মাসিক আল কাউসার (মারকাযুদ্ দাওয়া)
মাসআলাঃ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
আইয়ামে তাশরীকের কোনো নামায কাযা হয়ে গেলে ঐ দিনগুলোর মধ্যে তার কাযা আদায় করলে তাকবীর বলা ওয়াজিব। কিন' এই কাযা পরবর্তী অন্য সময় আদায় করলে বা আইয়ামে তাশরীকের আগের কাযা নামায ঐ দিনগুলোতে আদায় করলে তাকবীর বলা ওয়াজিব নয়।
বাদায়েউস সানায়ে ১/৪৬৪ ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২ আলমুহীতুল বুরহানী ২/৫১১-৫১৩
মাসিক আল কাউসার (মারকাযুদ্ দাওয়া)
মাসআলাঃ জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
মহিলারা এই তাকবীরে তাশরীকটি নিচু স্বরে আদায় করবে। উচ্চ স্বরে নয়।-রদ্দুল মুহতার ২/১৭৯ হাশিয়া তাহতাবী

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া